লন্ডন (রয়টার্স) – মঙ্গলবার ডলারের অবস্থান এর প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় দুর্বল অবস্থানে থাকতে লক্ষ্য করা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্টের কেন্দ্রীয় ব্যাংকার বৈঠকে গত এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো সুদের হার কর্তন হতে পারে এই আশংকায় গত তিন মাসের মধ্যে ডলারের অবস্থান সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
CME ফেডওয়াচ নামক এক সম্ভাব্যতা টুল ব্যবহার করে দেখা গেছে যে ফেডের কোয়াটার-পয়েন্ট সুদের হার কর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে ২০% তবে জুলাই মাসে হতে যাওয়া ফেডের পরবর্তী বৈঠকে এই সুদের হার কর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে ৭০%।
কিন্তু এ বিষয়ে অতিমাত্রায় আগ্রহের কারণে গত তিন সপ্তাহের মধ্যে ডলারের অবস্থান ১% দুর্বল হতে লক্ষ্য করা গেছে। কিছু বাজার বিশ্লেষকের মতে, ফেড যদি আরো নিরপেক্ষ অবস্থানের সংকেত দেয় তবে ডলারের অবস্থান আবারো শক্তিশালী হতে পারে।
একটি নোটে HSBC এর কৌশলবিদরা বলেন, “ফেডের করা সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলোর মধ্যে প্রধান মন্তব্যগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, জুন অথবা জুলাই মাসে সুদের হার কর্তনের কোনো অভ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না।”
ডলারের বিপরীতে থাকা অন্যান্য মুদ্রার বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, ডলারের অবস্থান ০.১% কমে ৯৭.৪৩৭-এ অবস্থান করছে যা গত তিন মাসের মধ্যে গত মাসে থাকা ৯৬.৪৬ এর থেকে খুব বেশি দূরে অবস্থান করছে না।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হেজ তহবিল যখন ডলারের সাথে জোট বেঁধেছিলো তখন ২০১৯ সালে তাদের নেট অবস্থান বেশ উপরের দিকেই ছিলো।
বর্তমান লেনদেন সীমার নিচের দিকে থাকা ইউরো এখন ডলারের বিপরীতে বেশ ফুলে উঠেছে। যা এখন $১.১২ সীমার উর্ধে রয়েছে। ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকার প্রধান মারিও দ্রাঘির বক্তব্য শোনার জন্য বাজার মুখিয়ে আছে যার মাধ্যমে তিনি পরবর্তী অর্থনৈতিক ধস মোকাবেলায় নীতিনির্ধারকরা কি ব্যবস্থা নিতে পারে সেই ব্যাপারে পথ দেখতে পারেন।
ইউরোজোনের বেঞ্চমার্ক সুদের হার যখন ঋণাত্মক এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বাভাসে মুদ্রাস্ফীতি যখন বেশ নিচের দিকে আশা করা হচ্ছে তখন আর্থিক বাজার দ্রাঘির মন্তব্যের উপর সুক্ষ নজর রাখবেন।
ট্রেডাররা যখন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনের খবরের দিকে আলোকপাত করে বসে আছেন তখন ব্রিটিশ পাউন্ড $১.২২৫০ ডলারে লেনদেন হচ্ছে।
সূত্র-investing.com